Header Ads Widget

 


বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নকশাকারী মেজর জিয়া চন্দ্রিমা উদ্যানের মাঝারে কি আছে পরীক্ষা করা দরকার -সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ


সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নকশাকারী মেজর জিয়াউর রহমান। এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগি জিয়াউর রহমানসহ যারা জড়িত আছে সেই সত্য উদঘাটন করে জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সরকার একটি কমিশন করবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে কারা এর সাথে(বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে) জড়িত আছে। আমি তো মনে করি এর জন্য জেনারেল শফিউল্লাহর বিচার হওয়া উচিত। তিনি তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাদের কি ভূমিকা তা দেখা দরকার।



প্রতিমন্ত্রী সোমবার রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান জেনারেল শফিউল্লাহকে বরখাস্ত করে সেনা প্রধানের দায়িত্ব নিলেন। ৪২ বছর বয়সে রাষ্ট্রপতি হলেন। আর আজকে এই আমরা যেটা দেখি যে, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার যে সমাধি সেই সমাধিতে আসলে সে আছে কিনা, সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কিনা ? আসলেও আছে কিনা ? সেই বিষয়ে আমার একটা প্রশ্ন আগেও ছিল এখনও আছে। ধরেন জিয়াউর রহমানের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে আনা হলো, সেখানে কাওকে দেখতে দেয়া হয়নি। বেগম জিয়াকেও না। বাক্সবন্দি ছিল। সেখানে কি মানুষ আছে, না অন্যকোন প্রাণি? বেগম জিয়া যেখানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সেখানে তিনি কাকে জানান? স্বামী ভেবে তিনি কাকে শ্রদ্ধা জানান? স্বামী ভেবে কি তিনি অন্য কাউকে শ্রদ্ধা জানান, সেখানে কি অন্য মানুষ আছে অথবা অন্যকোন প্রাণি আছে? এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ভিত্তিক একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, ডিএনএ টেস্ট করে সমাধান করা দরকার। প্রয়োজনে বেগম জিয়া সেই কমিটির সভাপতি হোক, সরকার সহযোগিতা করবে। নিশ্চিত হোক সেখানে আসলেও কি আছে! উনি (খালেদা জিয়া) জানেন না, আমরা জানি না, বিশ্ববাসী দেখলো না, আছেটা কি? কাজেই বেগম জিয়া স্বামী ভেবে কাকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করছেন সেটি একটি প্রশ্ন।

এরকম পুষ্পার্ঘ খালেদা জিয়া আগেও আরো অনেকরেই করেছেন মন্তব্য করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি(খালেদা জিয়া) জেনারেল জানজুয়ার আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকেছেন। এমনকি জানজুয়ার মৃত্যুর পর তিনি শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। অথচ ইস্টার্ন কমান্ড যে কমান্ডের কাছে, যে মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলো সেই মিত্র বাহিনীর জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার, যার কাছে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলো তার মৃত্যুতে তিনি(খালেদা জিয়া) শোক বার্তা দিলেন না। এমনকি জেনারেল ওসমানীর মৃত্যুতেও তিনি শোকবার্তা দেননি। তাদের (বিএনপি) ব্যাপক পাকিস্তান প্রেম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিতর্কের উর্ধ্বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যদি দক্ষিন আফ্রিকার দিকে তাকাই সেখানে নেনসন মেন্ডেলাকে নিয়ে কোন বিতর্ক নাই, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে কোন বিতর্ক নাই। কিন্তু আমার জাতির পিতাকে নিয়ে কেন বিতর্ক থাকবে? রাজনীতিতে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু জাতির পিতাকে নিয়ে কোন বিতর্ক সহ্য করা হবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দলমত নির্বিশেষে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে।

মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিছ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ও অন্যন্যের মধ্যে পৌর মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকার, সাবেক উপজেলা জেয়ারম্যান এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আরব আলী, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা আক্তার কাকলি, মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এ জেডএম ইমাম উদ্দিন মুক্তা, অধ্যাপক বজরং আগরওয়ালা প্রমুখ অংশ নেন।

Post a Comment

0 Comments