Header Ads Widget

 


মুক্তাগাছার কাশিমপুরে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড পেতে ৫ হাজার টাকা ঘুষ

মোঃকামরুল হুদা আকন্দ(বাবলু) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কাশিমপুর ইউনিয়নের বয়স্ক-বিধোবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড বিতরনের অনিয়ম এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক ঘোরাঘুরি কইরা কার্ড পাইছি , মালেক মেম্বারকে  ৪৫০০ টাকা দিলে কার্ড দিছে , কার্ড দেওয়ার আগে ১৫০০ দিছি , কার্ড পাইয়া ৩ হাজার দিছি , অন্য মানুষের কাছে আরও বেশী নিছে , আমি কয়েক জনের টাকা নিয়া মেম্বাকে দিছি , তাই ৫০০ টাকা কম নিছে,  এমন কথা বলছিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আঃ রাজ্জাক। 


একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, তার কার্ডের জন্য ৫০০০টাকা  মালেক মেম্বারকে দিতে হয়েছে।


অভিযোগ করে মৃত মান্নানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য  মালেক মেম্বার টাকা চাইছে, টাকা না দিলে কার্ড অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিবে বলেছে৷ সেই ভয়ে  পাঁচ হাজার টাকা মেম্বারকে দিছি, আমাকে বয়স্ক ভাতা কার্ড দিছে। 


কশিমপুর গ্রামের মাজেদা খাতুনের অভিযোগ করে বলেন, কার্ড করতে ৫০০০ টাকা লাগবে, মেম্বার বলছে টাকা ছাড়া কার্ড দিবে না ,তাই ৪৫০০টাকা মেম্বারকে দিছি।


টাকার বিনিময়ে ভাতার কার্ড প্রদানের অভিযোগ কাশিমপুর ইউনিয়নের মেম্বার আঃ মালেক ও চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের  বিরুদ্ধে। এভাবে কার্ড প্রতি ৫ হাজার টাকা করে আদায় করে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করেছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জনান কাশিমপুর ইউনিয়নের  বাসিন্দারা।  

জানা গেছে, কাশিমপুর ইউনিয়নের সদস্য আঃ মালেক ও চেয়ারম্যান  বিভিন্ন গ্রামের অসহায়, দুস্থদের থেকে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড  দেয়ার কথা বলে কার্ড প্রতি ৫-৬ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। যারা টাকা দিয়েছে তারাই ভাতার কার্ড পেয়েছে,  যারা টাকা দিতে পারেননি তাদের ভাতার কার্ড মেলেনি। এ বিষয়ে কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আঃ মালেক বলেন এই সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।


 ভাতার কার্ডের বিষয়ে কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই সব আমার প্রতিপক্ষের কাজ সব অভিযোগ মিথ্যা।তিনি ভাতার কার্ডের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও টাকা নিয়ে ভাতা কার্ড প্রদানের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।

এ বেপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অসীম সরকার বলেন,সরকারি ভাতা পেতে কোন টাকা লাগে না।তবে কাশিমপুর ইউনিয়নের ভাতা কার্ডের বিনিময়ে টাকা লেনদেন এর বিষয়ে একটি অভিযোগ রয়েছে।সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Post a Comment

0 Comments