Header Ads Widget

 


ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল তরুণ উদ্যোক্তা ফারজাদ জাইফ



মুক্তাগাছা প্রতিনিধিঃ কামরুল হুদা আকন্দ (বাবলু)

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ফারজাদ জাইফ একজন সফল উদ্যোক্তা। নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে ২০১৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছেন তিনি।


চাকরি না করেও যে স্বাধীনভাবে কিছু করা যায়, তাই করে দেখিয়েছেন জাইফ। পড়ালেখার পাশাপাশি দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠোর পরিশ্রমে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিনি এখন সফল। তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি উদ্যোক্তা তৈরি করতে “অক্সার আইটি ইন্সটিটিউট “নামে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রও গড়ে তুলেছেন তিনি।


তরুণ এবং সফল উদ্যোক্তা ফারজাদ জাইফ, যিনি কিশোর, তরুণ কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠ- অনেকের কাছেই আস্থার এক নাম। হার না মানা মনোবল, নিজ প্রচেষ্টা ও সীমাহীন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা এই মানুষটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বেকারত্ব সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে। ফারজাদ জাইফ এর হাত ধরে নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করা মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।


ফারজাদ জাইফ বহুবিধ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং ও শপিফাই এর উপর দক্ষ, তেমনিভাবে একজন সফল ইউটিউবারও। পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয়  অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফাইভার এ টপ রেটেড নমিনেশন প্রাপ্ত সেলার।


ফারজাদ জাইফ বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এর অধীনে ভূঁইয়া একাডেমিতে আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র । ফারজাদ জাইফ লেখাপড়ার পাশাপাশি এখন তরুনদের ডিজিটাল মার্কেটিং, শপিফাই,  ফেসবুক ও ইউটিউব এ কন্টেন্ট বানানো সহ নানাবিধ কাজে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং এতে তরুণ সমাজের মাঝে বেকারত্ব কমছে। 



ফারজাদ জাইফ ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও শপিফাই এর কাজ শেখা শুরু করে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ফাইভার এ একাউন্ট করেন। ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে টপ রেটেড সেলার হয়। শুধু ফাইভার থেকে ২ বছরে প্রায় ২০ হাজার এর বেশি আমেরিকান ডলার আয় করে।

বিশ্বের প্রায় ৫০ টি প্লাস দেশের ক্লায়েন্টের এর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি ফেসবুক ও ইউটিউব কন্টেট বানিয়ে আয় করেছেন।তিনি ২ টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এ কাজ করেন। ফারজাদ জাইফের অধীনে  শিক্ষার্থীরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে , দিন বা রাতের অনেকটা দেরিতে হলেও ফারজাদ জাইফ  তাদের সর্বদা সাহায্য করেন। আর সদাসর্বদা তার শিক্ষার্থীদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন বিধায় শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। জাইফ আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর জন্য খুব কম পরিমাণে বা কোন ফি রাখেন না। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রত্যেক ব্যক্তির শেখার সুযোগ পাওয়া উচিত। ফারজাদ জাইফ শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাপে ধাপে নির্দেশনা প্রদানের জন্যও বেশ পরিচিত। তিনি একটি ব্যবহারিক শিক্ষণ পরিকল্পনাও স্থাপন করেছেন যা শিক্ষার্থীদেরকে কঠিন কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। কখনো যদি শিক্ষার্থীরা কাজটি সম্পন্ন করার সময় একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তবে জাইফ শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য একটি জুম মিটিং এর ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও, তিনি একটি সাপোর্ট ক্লাস প্রদান করেন যেখানে শিক্ষার্থী সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পেতে পারে।


ব্যক্তিগত জীবনেও ফারজাদ জাইফ খুব সফল ও সুখী একজন ব্যক্তি। কারণ, তার রয়েছে যত্নশীল বাবা-মা এবং বোন, যারা তাকে সবসময় আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সমর্থন করেন। সকলের অনুপ্রেরণায় ফারজাদ জাইফ সর্বদাই অন্যের মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিয়জিত করেন এবং অন্যের  প্রেরণা জোগায় । আর সে অনুযায়ী জাইফের নিরন্তর পথ চলা।


ফারজাদ জাইফ নিজেকে সফল উদ্যক্তা ও ফ্রিলান্সার হিসেবে আইটি ইন্সটিটিউট এর মাধ্যমে নতুন নতুন ফ্রিলান্সার তৈরির চেষ্টা করছে। যা বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম হবে।


Post a Comment

0 Comments