মোঃকামরুল হুদা আকন্দ(বাবলু):ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় উদ্ভুত পরিস্থিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এরাতে পৌর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবত থাকবে। এসময় শহরে সব ধরণের মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসাদ হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসুচি থেকে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা হচ্ছে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তবে, যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় তিনজন আটক করা হয়েছে। এরপর আর কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
যুবলীগ কর্মী আসাদ হত্যার প্রতিবাদ ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের নেতৃত্বে শহরের ঝাড়ু– মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে রবিবার পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার হত্যা কান্ডের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার ও মামলায় নির্দোষ ব্যাক্তিদের হয়রানী বন্ধের দাবী জানিয়ে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ নিহত আসাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ কয়েজন কে সঙ্গে নিয়ে চা পান করছিলেন। সেখানে হামলার শিকার হয়ে নিহত হন আসাদ। এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজন কে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকালে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের মরদেহ মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পরে ওই দিন রাতে নিহত আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল হাসান মনিসহ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
একপক্ষ আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। আরেক পক্ষ মামলায় নির্দোষ ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে বলে দাবী করে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার ও নির্দোষ ব্যাক্তিদের হয়রানী না করার দাবী জানিয়ে আসছে।
0 Comments