Header Ads Widget

 


মুক্তাগাছায় নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগে হ-য-ব-র-ল

বাবলু আকন্দ :৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী  কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়া হতে শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিগত নির্বাচনে যারা সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের করা হয়েছে পোলিং অফিসার। বিগত নির্বাচনগুলোতে উপজেলার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারিদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।  
যা একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন অনেক কর্মকর্তা বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়া থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনে দ্বায়িত্ব পালন করেও নিয়োগ না-পাওয়াদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এনিয়ে অনেকেই উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের রেজিষ্টার বইয়ে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের অফিসের ৮ম গ্রেডের চাকুরিজীবি সিরাজুল ইসলাম আবেদন করেন বিগত নির্বাচনগুলোতে সে সহকারি প্রিজাইডিং দায়িত্ব পালন করে আসছে। এবার নির্বাচনে তাকে পোলিং হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সেখানে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের দাবি করে আসেন।
উপজেলার  ঝনকা বাজার দাখিল মাদ্রাসা থেকে সকল শিক্ষকদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের তালিকা পাঠালেও সেখান থেকে ৫জন শিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার বিগত নির্বাচনে অনেকেই সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিংয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এবার নির্বাচনেও তারা দায়িত্ব পালনে আগ্রহী ছিল।
ঝনকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, আমি জাতীয় নির্বাচনে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করি, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডিউটির তালিকায় আমার নাম নাই, আমি সহকারি প্রিজাইডিং অথবা পোলিং অফিসার যেকোনো দায়িত্ব পালনে আগ্রহী। আমাকে ডিউটি না দিয়ে পাশের উপজেলা থেকে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন, যা মোটেই কাম্য নয়। আমাদের মাদ্রাসা থেকে আমিসহ ৫ জন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সারা উপজেলায় অনেক পুরাতন অভিজ্ঞতা শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা শারমিন সুলতানা বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা থেকে কিছু সংখ্যক জনবল নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যদি নিজের উপজেলায় দক্ষ জনবল কম থাকে তাহলে পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে জনবল নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এবং এটি সারাদেশেই হয়ে থাকে। তবে যদি সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারি নির্বাচনি  দায়িত্ব পালনে বাদ পড়ে থাকে সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

Post a Comment

0 Comments