বাবলু আকন্দ:ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনের সাবেক এমপি, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএম খালিদ বাবু এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরব আলী, ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই হাজারের অধিক নেতাকর্মীর নামে মুক্তাগাছা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ১নং আসামী করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাবেক পৌর মেয়র মুক্তাগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম শহীদ বাদী হয়ে একটি ও ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর মামলাটি করেন। দুটি মামলায় মিলে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও বাকী ২দুই হাজার জনকে অজ্ঞাত রেখে মোট ২১৫৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদকে ১নং আসামী করে সাবেক মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরব আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুল হক ইদু, তার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল হক যদু সহ ৬৩জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামী করা হয়। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা সঙ্ঘবন্ধ হয়ে হাসিনা সরকার পতনে আগের দিন রাতে বাদীর বাড়ির সামনে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে তারা বাদীর বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এসময় তারা ককটেল ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।
একই তারিখে উপজেলার ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। সেখানেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদকে প্রধান আসামী করা হয়। মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, তার মেয়ের জামাতা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আরব আলী, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ ৯২জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামীরা মুক্তাগাছা বড়হিস্যা বাজারে বিএনপি’র কার্যালয়ের দু’তলায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহমেদ জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সাবেক পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গত ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরও একটি মামলা হয়। শহরের ঈশ^রগ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আল আমিন বাদী হয়ে পৌর মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে বিল্লাল হোসেন সরকারকে একক আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সাবেক সংস্কৃতিপ্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাবেক পৌর বিল্লাল হোসেন সরকার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলীসহ ক্ষমতার অপব্যবহারকারী আওয়ামীলীগ নেতারা গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
0 Comments