Header Ads Widget

 


মুক্তাগাছায় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

 

বাবলু আকন্দঃ মুক্তাগাছায় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ এর প্রিন্সিপাল ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা বলেন, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ এর বিভিন্ন অনিয়ম-দূনীর্তির ও সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ আলী ইদ্রিসের সাথে সকল অনিয়ম-দুর্নীতি সিন্ডিকেট হিসাবে কাজ করেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো: মাহফুজুল বারী ও লাইব্রেরিয়ান আলী হয়দার। মানববন্ধনে এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিও উঠে আসে।

ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তাগাছা উপজেলার স্বনামধন্য শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ যা বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অধিভুক্ত। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে সরকারিকৃত কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), ৭ টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ৩টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। সকল কোর্স মিলে কলেজটিতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে বোর্ড নির্ধারিত ফি এর চেয়ে ৫৫০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করে। কোন প্রকার রসিদ ছাড়াই ৫৫০ টাকা আদায় করেছে কলেজে ভর্তি ইচ্ছু ছাত্র- ছাত্রীদের কাছ থেকে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থারা আরো বলেন স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় পরিচালনা করতেন কলেজ। গত ২ বছর যাবদ কলেজের ৭ জন শিক্ষক এর পোষ্ট খালি থাকার পরেও কোন শিক্ষক আসতে চায় না অদ্যক্ষের অনিয়ম-দূর্নীতির জন্য।

উন্নয়নের নামে কলেজে যে হরিলুট চলেছে এবং একটি সিন্ডিকেট কিভাবে তাদের নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করেছে তা নিশ্চিত ভাবেই তদন্তেরে দাবি রাখে। কলেজের সম্পদ কাজল কোঠা বিল লিজকৃত থাকা অবস্থায় তা বাতিল করে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহবুবুল আলম মনিরের হাতে তুলে দেন। মনির মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের মেয়ের জামাই। মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে পৌরসভার ময়লা ফেলে কলেজের সম্পত্তি কাজলকোটা বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করার অনুমতি দেন অভিযোক্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী।

বিগত স্বৈরশাসক সরকার পুরো দেশটিকে যেভাবে তার বাবার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল এই কলেজটিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অধ্যক্ষ নামধারী একজন জালেম স্বৈরশাসক ১৪তম বিসিএস কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস আলী। কলেজটিকে তার বাবার সম্পত্তি মনে করেননি বটে কিন্তু ক্রয়সূত্রে নিজেই তার মালিক বনে গিয়েছিলেন।

সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করে অধ্যক্ষ মোঃ আলী ইদ্রিস আলী এক পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। কথায় কথায় শোকজ, কোন কারণ ছাড়াই এসিআর এ বিরূপ মন্তব্য, শিক্ষকদের বদলি করার জন্য বিভিন্ন আওয়ামী দিবসের অবমাননার অভিযোগ আনতেন। জামাত বিএনপি বলে প্রকাশ্যেই তালিকা দিতেন মন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ে। হাসিনা আমলের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুর ছোটভাই পরিচয় দিয়ে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী এসব কুকর্ম করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কিভাবে প্রতিবছর দুর্নীতির খাত তৈরি করতে হবে, অতিরিক্ত ফি আদায় করে লাখ লাখ (সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা) টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করা যাবে, প্রতিবাদ করলেই কোন শিক্ষককে হয়রানি করতে হবে, বদলি করতে হবে, কোন কোন কর্মচারীর বেতন মাসের পর মাস আটকে রাখতে হবে, কোন কর্মচারী অধ্যক্ষের বাসায় গিয়ে কাজ করতে রাজী না হলে তার কিরকম পানিশমেন্ট ডিউটি দিতে হবে তা ছিল এই সিন্ডিকেটের কাজ।

পরে বিক্ষোপকারী ছাএজনতা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারক লিপি জমা দেন।

Post a Comment

0 Comments