বাবলু আকন্দ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সরকারি শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ আলী ইদ্রিসের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করেছে কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের মূল ফটকের সামনে এ তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ আলী ইদ্রিস কলেজের সম্পত্তি তছরূপ ছাড়াও বিভিন্ন সময় কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করতেন। আর যারা এসবের প্রতিবাদ করেছেন তারা বিভিন্ন সময় অনেক হয়রানি সিকার হয়েছেন।
উপাধ্যক্ষ সেলিম তালুকদার বলেন, অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী ৫৪ দিন আন অথরাইজ লিভে আছেন ৫ই আগষ্টের পর তিনি কলেজে আসেন নাই,তিন থেকে চার দিন কলেজে এসেছেন গতকাল ২ অক্টোবর এবং আজ অফিসিয়াল ছুটি নিয়েছেন এবং আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।তার অপকর্ম সকল জায়গায়,আমরা তার সুষ্ঠ বিচার ও তদন্তের দাবী করছি।কলেজের সুষ্ঠ পরিবেশ ফেরাতে,শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীর অপসারনের কোন বিকল্প নাই।
সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন,অদ্যক্ষ ইদ্রিস আলী কলেজে একক আধিপত্যও বিস্তার করেছেন।কলেজ থেকে বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারতাম না কখন কোন আদেশ জারি হয়,কখন সুকোজ খেতে হয়,কখন আমার এসিআর খারাপ হয়,কখন আমাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বদলি করা হয় কখন ডিজি অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয় এবং এই সবই আমার সাথে করা হয়েছে কিন্তু অধ্যক্ষের রাজনৈতিক প্রভাবে মুখ খুলতে পারি নাই।আমরা অধ্যক্ষের অপসারন দাবি করছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত এক ছাত্র বলেন, প্রফেসর আলী ইদ্রিস এই কলেজে যোগদানের পর থেকেই নানা দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বাড়তি ফি আদায় করতেন। আর এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি আমাদের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ফখরুল স্যারের গায়ে হাত তুলেন। আমরা এসব দুর্নীতি বন্ধে তার অপসারণ দাবি করছি।
লাঞ্চনার শিকার শিক্ষক ফখরুল আলম বলেন, প্রফেসর আলী ইদ্রিস কলেজে তার একক আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছে। কলেজের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী তার মানসিক নির্যাতনের শিকার। সর্বশেষ ৩০তারিখ তার এক সাজানো নাটকের প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ওপর চড়াও হয়। এবং আমাকে মারধর করতে আসে। এবং এক পর্যায়ে সে সফলই হয় আমার ওপর আক্রমন করে।
এসময় বক্তারা দ্রুতই অধ্যক্ষ আলী ইদ্রিসের অপসারণ দাবি করে। তাকে অতি দ্রুত অপসারণ করা না হলে তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন।
বিষয়ে ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরপরিচালক আজাহারুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত করেএই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments