Header Ads Widget

 


তাড়াইলে শতবর্ষী মসজিদের কমিটি ও ইমামের দন্ধ এলাকায় মুসুল্লিদের নামাজ আদায় ব্যাহত


 তাড়াইল প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে  মসজিদ কমিটি ও ইমামের দন্ধে  মসজিদে স্থানীয় মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ে অনীহায় প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন মসজিদটির ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

জানা গেছে,উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের করাতি গ্রামের ডা.কামাল আহমেদ খান এর পূর্ববর্তী বংশধরগন এলাকায় মুসুল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য ৪শতক ভূমি দান করেন।প্রথম দিকে টিনের চালা তুলে মসজিদে স্থানীয় মুসুল্লিগন নামাজ পড়তে শুরু করেন।মসজিদটির নামাকরন করা হয় করাতি খানপাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ।মসজিদটির অবস্থান তাড়াইল উপজেলা হতে পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ উপজেলায় যাওয়ার  মূল সড়কের পাশে করাতি গ্রামে।পর্যায়ক্রমে মসজিদটি ৩তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতলা স্থাপণা করেন বর্তমান কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান(অটল) এবং সম্পাদক আতিকুর রহমান সহ ১১সদস্যের কমিটি।উক্ত মসজিদে একসাথে প্রায় ২৫০জন মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।

উক্ত মসজিদে প্রায় ১৩ বছর যাবত ইমামতি করেন উপজেলা বোরগাঁও গ্রামের ফরিদ উদ্দিন(৫০)।মসজিদ কমিটির অভিযোগ ইমাম সাহেব অনৈতিক কাজে লিপ্ত।তিনি এলাকায় সুদখোর হিসেবে পরিচিত।তার কর্মস্থল করাতি গ্রামের বিভিন্ন লোকদের নিকট সুদে টাকা খাটান।কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের অভিযোগ তিনি করাতি গ্রামের প্রভাবশালী ও মার্ডার মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী মিজানুর রহমান এর প্রত্যক্ষ মদদে এবং সহযোগীতায় মসজিদের ইমাম হয়েও এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন।মার্ডার মামলার আসামী মিজান বিগত তত্বাবধায়ক সরকার বিচারপতি সাহাবউদ্দিনের সাধারণ ক্ষমায় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ মসজিদ কমিটির।ইমাম সাহেবের পক্ষ নেয়ায় মিজানের ভয়ে কমিটির লোকজন জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।ফলে ঐতিহ্যবাহী মসজিদটিতে দিন দিন মুসল্লিদের নামাজ আদায় হ্রাস পাচ্ছে।এলাকার মসজিদ ছেড়ে দূরের মসজিদে নামাজ আদায় করছেন মুসুল্লিরা।

ইমাম ফরিদ উদ্দিন-কে রেজুলেশন করে মসজিদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন বর্তমান কমিটি।তার পরেও সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজানের খুঁটির জোরে বহাল আছেন অভিযুক্ত ইমাম।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটি সকল সদস্যগণের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী বরাবরে দাখিল করেন।প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর নিকট পৃথক আরো দুটি দরখাস্ত প্রদান করেন।

বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকার সুশীল সমাজের ধারনা দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে যে কোনও সময় একটা ঝগড়া বিদাদ সৃষ্টি হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি দরখাস্ত প্রাপ্তি স্বীকার করে জানান,ওই এলাকা অর্থাৎ দিগদাইড় ইউপি'র চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া আসাদ-কে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলা হয়েছে।

দিগদাইড় ইউপি'র চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া আসাদ-কে মুঠোফোনে প্রশ্ন করলে তিনি জানান,ইউএনও স্যার আমাকে দ্বায়িত্ব দেয়ার পর আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি বিষয়টি মীমাংস করার।ইমাম ফরিদ উদ্দিনকে মুঠোফোনে কয়েকবার ডেকেছি পরিষদে আসার জন্য।তিনি একবারও আসেনি।তাছাড়া ইমাম ফরিদ উদ্দিনের পক্ষ নিয়ে মুঠোফোনে মিজান উল্টোপাল্টা কথা বলে।আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অভিযুক্ত ইমাম আগে অন্য এলাকায় থাকাকালীন ইমামতির পাশাপাশি সুদের ব্যাবসা করতেন বলে অনেকেই বলেছে।আমার ডাকে ইমাম সাহেব সারা না দোয়ায় এবং একটি স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় এটার সুরাহা আমার দ্বারা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা সমন্বয় মিটিংএ ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি।

Post a Comment

0 Comments