স্টাফ রিপোর্টারঃ আমরা গরীব হলেই কি আমাদের সন্তানের প্রতি দয়ামায়া নাই! ধনীর সন্তান যেমন তার আদরের, আমার সন্তানও তো আমার কাছে আদরের। আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি হাত পেতে টাকা তুলে ছেলেকে খুজতে খুজতেছি। এখন আর কোন উপায় দেখছি না। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
এমন আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রুবেলের মা শিউলি আক্তার।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চেচুয়া বাজারের হোটেল কর্মী রুবেল (১২) কে ১১ দিন ধরে নিখোজ। থানায় জিডি করেও কোনো হদিস পাচ্ছে না পরিবার। সন্তানকে হারিয়ে মা শিউলি আক্তার এখন পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। হোটেল কর্মী রুবেল অপহরণ নাকি নিখোঁজ এ নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে ধুমরোজাল।
উপজেলার চেচুয়ার রাঘববাড়ি এলাকার হোটেল কর্মী হোসেন আলীর ছোট ছেলে। নিখোজ রুবেল চেচুয়া বাজারের পাহাড়িয়া রোডে হাসু মিয়ার হোটেলে কাজ করত।
রুবেলের মা শিউলি আক্তার বলেন, ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিবেশি রেজিয়া খাতুন বাড়িতে এসে হাসুর হোটেলে তার সাথে কাজে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে বের হয়। কিন্তু কাজের সময় পেরিয়ে গেলেও রুবেল বাড়িতে ফিরেনি। পরে তার পরিবার তাকে খোজতে হাসু মিয়ার হোটেলে যায়। তার ছেলে খবর জানতে চাইলে হাসু মিয়া বলেন সে রুবেলকে ডাকতে কাউকে পাঠায় নি। এবং রুবেল ওইদিন কাজেও আসেনি। পরে তারা নিকট আত্মীয়সহ বিভিন্ন জায়গায় রুবেলকে খোজতে শুরু করে। কিন্তু কোথাও তাকে পায় নি। পরে নিখোজ রুবেলের বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শিউলি আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়ে আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেকে বাড়ির সকলের সামনে রেজিয়া ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আর ছেলেকে খোজে পাচ্ছি না। এলাকার মাতাব্বরসহ থানা পুলিশ ও র্যাবের অফিসে কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করতেছি। কিন্তু কেউ আমার ছেলে সন্ধান দিতে পারল না।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, শিশুটি আসলে কোথায় আছে তার তদন্ত চলছে। তাকে খোজতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
0 Comments