Header Ads Widget

 


বেড়িয়ে এলো সেই জাল সনদধারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুই কম্পিউটার সনদ

 


বাবলু আকন্দঃ ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে চাকুরী নেওয়া ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিরের কম্পিউটার সনদ জালের অভিযোগের পর অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এলো দুইটি কম্পিউটার সনদ। এ নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। কোনটি আসল! কোনটি নকল!


অনুসন্ধানে জানা যায়,  একই সালের জাতীয় বহুভাষী সাটলিপি প্রশিক্ষণ ও গভেষণা একাডেমি (নট্টমস) এবং মিনা বহুভাষী সাটলিপি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নট্টমস) থেকে  দুইটি কম্পিউটার সনদ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল কবিরের।  কম্পিউটার শিক্ষক নাজমুল কবির বলছেন মিনা বহুভাষী সাটলিপি কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট  থেকে তিনি ২০০১ সালে প্রশিক্ষণ করেছেন। কিন্তু একই সালের ২০০১ এ তার নামে জাতীয় বহুভাষী সাটলিপি প্রশিক্ষণ ও গভেষণা একাডেমির আরেকটি সনদ সম্প্রতি বেড়িয়ে এসেছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। এদিকে অভিযোগের পাহাড় জমলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। 


দুইটি সনদের বিষয়ে নাজমুল কবির বলেন,  মিনা বহুভাষী সাটলিপি কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউটের সনদটি তার বলে দাবি করেন। অন্য আরেকটি সনদের বিষয়ে তার প্রতিপক্ষ ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিনকে দায়ি করছেন। তিনি বলেন বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন এই সনদ বানিয়ে তার নামে অপপ্রচার করছেন। 


বিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, একজনের সার্টিফিকেট বানানোর বিষয়টা হাস্যকর। তাহলে উনাকেও আমার নামের সকল সনদ বানিয়ে নিতে বলেন। ২০১৭ সালের অডিটে তার সনদ জাল বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর আমি তাকে বারবার নোটিশ দিয়েছি। তিনি কর্ণপাত করেন নি। তারপর শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন অফিসে সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনও করেছি। 


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম আজম বলেন, আমি নাজমুল কবিরকে অফিসে ডেকেছিলাম। তিনি তার সকল কাগজপত্র দিয়েছেন। এখন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে।


সনদ যাচাই-বাছাই তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা আইসিটি অফিসার (সহকারী প্রোগ্রামার) মানজুর আহমেদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক নাজমুল কবির তার নামে মিনা বহুভাষী সাটলিপি কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউটের একটি সনদ জমা দেন। পরে আমি মিনা বহুভাষী সাটলিপি কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউটয়ে ই-মেইলে তার সকল তথ্য দিয়ে জানতে চাই। পরবর্তীতে তারা আমাকে একটি মেইল করে। দুইটি সনদের অস্তিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।  আমি ইউএনও স্যারকে আরও উচ্চতর তদন্তের জন্য অবহিত করব।

Post a Comment

0 Comments