Header Ads Widget

 


ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসার প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে প্রেসক্লাবে মারধর


 স্টাফ রির্পোটারঃ ময়মনসিংহে ভুয়া দন্ত চিকিৎসকের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে প্রেসক্লাবের ভেতরে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অপচিকিৎসার শিকার সাংবাদিকের বাবা সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামের বাবা মোসলেম উদ্দিন (৭০) দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছিলেন। ১২ মার্চ বিকেলে তাকে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার ‘অ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলুশন’ নামের একটি চেম্বারে নেওয়া হয়। সেখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শিমু আক্তার নামে এক ভুয়া চিকিৎসক নড়বড়ে দাঁত না ফেলে সুস্থ দাঁত তুলে দেন। এরপর ওষুধ সেবন করেও ব্যথা না কমায় ১৩ মার্চ ‘রীচ হেলথ সেন্টার’ নামে আরেকটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম কোনো পরীক্ষা ছাড়াই রিকশায় বসিয়েই দাঁত তুলে দিয়ে ওষুধ দেন। কিন্তু ওষুধ খেয়েও মোসলেম উদ্দিনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়।

অভিযোগের পর প্রেসক্লাবে ডেকে মারধর এই ঘটনায় গত ১৮ মার্চ সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুয়া চিকিৎসক শিমু আক্তার ও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তাকে চা পানের জন্য ক্লাবে আমন্ত্রণ জানান।রাতে মঞ্জুরুল ইসলাম প্রেসক্লাবের নিচে পৌঁছালে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা তাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। এরপর প্রেসক্লাবের সভাপতির কক্ষে নেওয়া হলে চিকিৎসক আমিনুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানেই সাংবাদিক মঞ্জুরুলের মাথায় বেধড়ক কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার মাথা ও কানে গুরুতর আঘাত লাগে এবং তিনি শ্রবণশক্তির ৪০ শতাংশ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।পুলিশের হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “চিকিৎসক আমিনুল আমার ক্লাবের সদস্য। আমিই সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলাম। পরে আমার রুমেই আমিনুল ও তার লোকজন তাকে মারধর করে।”

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, “মারধরের পর ওই সাংবাদিক নিজেই ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন

Post a Comment

0 Comments