হালুয়াঘাট প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ১১নং আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা বাজারে প্রতিপক্ষকে মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে যখম করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত সেচ ও মসজিদের কমিটি নিয়ে রুস্তম ফকির গং ও প্রতিপক্ষ হাফিজ উদ্দিন ফকির গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ বুধবার ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে হাফিজ উদ্দিন গংদের বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে ইফতারের প্রস্তুতিকালে রুস্তম ফকির গংদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন তারের সময় রাসেল ফকির, সায়েম ফকির, রুস্তম আলী ফকির, আশিক ফকির, দিপু ফকির, জুয়েল ফকির,রিফাত খান সহ আরো অনেকেই একসাথে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের রবিন ফকিরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসম রবিন ফকির আত্মরক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী মসজিদে ঢুকে পড়লে হামলাকারীরা মসজিদের ভিতরে ঢুকেই তাকে দা, ছুড়ি, শাবল,দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে রক্তাক্ত করে ফেলে ।
এসময় হামলাকারীরা প্রতিপক্ষ সোহেল ফকিরের দোকানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করে লক্ষাদিক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা চলাকালে হামলাকারীরা একটি মুমূর্ষ রোগীবাহী এম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালায়। পরে জানা যায় এম্বুলেন্সে থাকা ঐ মুমূর্ষ রোগীটির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লিরা আহত রবিনকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন ।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান মসজিদ থেকে ভিকটিমের রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন। এবং রাসেল ফকির নামে একজন অভিযুক্তকে ফুলপুর থেকে আটক করা হয়েছে।
0 Comments